জেনে নিন হজ্জের সংজ্ঞা গুরুত্ব ও হজ্জের ওয়াজিব ও সুন্নত কার্যক্রম সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা

সূচিপত্র

হজ্জ এর সংজ্ঞা

হজ্জের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে

সংকল্প করা.

পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে

নিদ্রিষ্ট দিনে শরীয়তের

বিধান অনুসারে

বায়তুল্লাহ শরীফে গিয়ে কয়েকটি

সুনিদ্রিষ্ট স্থানের জিয়ারত করাকে

ইসলামের ভাষায় হজ্জ বলা হয়.

জেনে নিন হজ্জের সংজ্ঞা গুরুত্ব ওয়াজিব ও সুন্নত কার্যক্রম সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা

হজ্জের গুরুত্ব ও হুকুমসমূহ

নিরাপদ ও সুষ্ঠ যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ দৈহিক ও আর্থিকভাবে

সামর্থবান মুমিনের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ. 

মহান আল্লাহ তালা ঘোষণা করেন:

وَلِلّٰہِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡہِ سَبِیۡلًا

 মানুষের উপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ,

যার সেখানে পৌঁছার সামর্থ রয়েছে।

 — সূরা আল ইমরান ৯৭

 তিনি আরো বলেন

 وَ اَتِمُّوا الۡحَجَّ وَ الۡعُمۡرَۃَ لِلّٰهِ ؕ

 আর তোমরা পূর্ণ কর হজ ও উমরাহ আল্লাহর উদ্দেশ্যে।

–সূরা বাকারাহ -১৯৬ 

 রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন যে :

 أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ فَرَضَ اللَّهُ عَلَيْكُمُ الْحَجَّ فَحُجُّو

 “হে মানবমন্ডলী! আল্লাহ তালা তোমাদের উপর হজ ফরজ করে দিয়েছেন।

অতএব

তোমরা হজ পালন করো.”

–মুসলিম  

 একাধিকবার হজ বা উমরাহ করা নফল বা ইচ্ছাধীন তথা অতিরিক্ত বিষয়।

–আবু দাউদ,নাসায়ী,ইবনে মাজাহ,মিশকাত,হা/২৫৩০

 

হজ্জের আরকান (ফরজসমূহ)

মূলত,হজ্জের আরকান মানে ফরজ কাজ তিনটি ,

 প্রথমত, ইহরাম বাধা মানে হজের নিয়তে

আপনাকে ইহরামের

দুটি কাপড় পরিধান

করে তালেবিয়া পাঠ করতে হবে.

দ্বিতিয়ত ,উকূফে আরাফাহ তথা

আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন

(অর্থ্যাৎ,৯ই জিলহজ দুপুরে সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে ১০ই জিলহজ সুবেহ সাদিক পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামান্য সময়ের জন্য হলেও). 

তৃতীয়ত,তাওয়াফে ইফাযাহ (তাওয়াফে জিহারত ) করবেন

অর্থাৎ,১০ই জিলহজ পবিত্র কাবা ঘর

তাওয়াফ করবেন।

মনে রাখবেন,হজ্জের এই তিনটি ফরজের

কোনো একটিও যদি আদায় না করা হয়,

তবে হজ আদায় হবে না.

দম বা কুরবানী দ্বারা ও এর ক্ষতি পূরণ সম্ভব নয়.

পুনরায় আদায় করতে হবে আপনাকে।

হজ্জের ওয়াজিব সমূহ

মূলত হজ্জের ওয়াজিব ৭টি চলুন এক নজরে দেখে নেই তা কী কী

প্রথমত আপনাকে মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধে নিতে হবে.

দ্বিতীয়ত আপনাকে আরাফাহ থেকে ফেরার পথে রাতে

মুজদালিফায় অবস্থান করতে হবে

এবং মাগরিব ও এশা একসঙ্গে আদায় করতে হবে.

 তৃতীয়ত,সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মধ্যবর্তি স্থানে ৭বার

সাহি করতে হবে মানে আস্তে আস্তে দৈড়াতে হবে. 

চতুর্থত,মিনায় নিদ্রিষ্ট স্থানে কংকর নিক্ষেপ করতে হবে

(১০ই জিলহজ ১৩ই জিলহজ পর্যন্ত) 

পঞ্চমত,মাথার চুল মুন্ডানো

অথবা

খাটো করতে হবে এবং মেয়েদের চুলের অগ্রভাগ কেটে ফেলবেন। 

ছয় নম্বরে বিদায়ী তাওয়াফ শেষ করে নিবেন।

যারা তাম্মাতু ও কিরান হজ আদায়কারীগণের তারা কুরবানী সম্পূর্ণ করে নিবেন.

মনে রাখবেন,হজ্জের ওয়াজিবসমূহের কোনোটি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে

বা ভুলবশত ছুটে যায় তবে হজ আদায় হয়ে যাবে

কিন্তু এর জন্য ক্ষতিপূরণ (দম )ওয়াজিব হবে।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ওয়াজিব

আদায় না করা অনেক বড় অন্যায়।

অব্যশই কোন কাজ যদি গ্রহনযোগ্য কোনো ওজরবশত বাদ পড়ে থাকে,

তাহলে ক্ষতিপূরণ ওয়াজিব হবে না.

 

হজ্জের সুন্নতসমূহ

মূলত হজ্জের অনেক গুলো সুন্নত রয়েছে নিম্নে এর কয়েকটি বর্ণনা করা হলো

 প্রথমত,মীকাত (মক্কা) এর বাইরে থেকে আগত হজ্জে ইফরাদ ও হজ্জে কিরান

আদায়কারীগণের তাওয়াফে কুদুম করতে হবে.

তাওয়াফে কুদূমে রমল ও ইজতিবা করে নিতে হবে

এটি করতে হবে যদি তাওয়াফে কুদুমের পর সাহি করা হয়.

তৃতীয়ত,৮ই জিলহজ সকালে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে

এবং সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে

ও সেখানে রাত্রী যাপন করতে হবে.

 ৯ই জিলহজ সূর্যোদয়ের পর মীনা থেকে আরাফাহর

ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে.

পঞ্চমত,আরাফাতের ময়দান থেকে (৯ই জিলহজ সূর্যাস্তের পর

হজ্জের ইমামের রওনা হওয়ার পর রওনা দিতে হবে.

 

মীনায় অবস্থানের দিনসমূহ ১০,১১,ও ১২ই জিলহজ মীনায় রাত্রী যাপন করতে হবে.

মীনা থেকে প্রত্যাবর্তনকালে মুহাস্সাব নামক স্থানে অতি অল্প

সময়ের জন্য হলেও যাত্রা বিরতি করা.

মনে রাখবেন হজ্জের এ সুন্নত সমূহ ঠিকমতো আদায় করলে

অনেক সওয়াব পাওয়া যায় তবে ছেড়ে দিলে দম মানে কুরবানী

ওয়াজিব হয় না.

Share the Post:
error: Content is protected !!
Open chat
💬 Need help?
Hello 👋
Can we help you?