প্রথমত ওজু অবস্থায় কাবা ঘরের নিকট পৌঁছে তালবিয়া পাঠ করা যাবে না
এবং তাওয়াফের নিয়ত করতে হবে,উচ্চারণ করে নয় মনে মনে করতে হবে.
সম্ভব হলে হাজরে-আসওয়াদের কাছে পৌঁছে ”বিসমিল্লাহি ওয়া আল্লাহু আকবার”
বলে হাত দিয়ে স্পর্শ করে চুমু দিয়ে তাওয়াফ শুরু করতে হবে.হাজরে-আসওয়াদ ছোয়া/দেওয়া
ভিড়ের কারণে সম্বভ না হলে হাজরে-আসওয়াদ বরাবর রেখা হতে হাজরে-আসওয়াদের দিকে
মুখ করে”আল্লাহু আকবার” বলে তাওয়াফ শুরু করতে হবে.
কাবা শরীফকে বামে রেখে তাওয়াফ শুরু করতে হবে
সাধারণতো, তাওয়াফ করার সময় কোনো নিদ্রিষ্ট দোয়া নেই
তাই আপনি চাইলে আপনার জানা যেকোনো দোয়া পড়তে পারেন
ও কুরআন তেলোয়াত,তাসবিহ-তাহলীল বা জিকির করতে পারেন।
প্রতি চক্কর রুকনে ইয়ামেনী থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
যেই দোয়াটি বেশি পড়তেন
رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً وَّ فِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ
“রাব্বানা আতিনা ফিদধূনীয়া হাসানাতাও,ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও,ওয়াকিনা আযাবাননার “
তাই এই দোয়াটি পড়া সুন্নত।
তাওয়াফের সময় পুরুষরা ” ইজতিবা” অর্থাৎ গায়ে জড়ান চাদরের মধ্যভাগ ডান
বগলের নিচে রেখে দুপ্রান্তে বাম কাঁধে রাখা(এটি শুধুমাত্র
তাওয়াফের সময় প্রযোজ্য,অন্য কোনো সময় নয়).
তাওয়াফের ১ম ও ৩য় চক্কর পুরুষরা “রমল” অর্থাৎ/দৌড়ানোর ভঙ্গীতে দ্রুত পদ্দক্ষেপে তাওয়াফ করতে হবে.
৭চক্কর তাওয়াফের পর মাকামে ইব্রাহিমের পিছনে অথবা হারাম শরীফের যে কোনো স্থানে
২ রাকাত তাওয়াফের ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে হবে.
১ম রাকাতে সূরা কাফিরুন ও ২য় রাকাতে সূরা ইখলাস পড়া সুন্নত।
নামাজের পর সম্ভব হলে হাজরে-আসওয়াদে গিয়ে ডান হাত দিয়ে তা স্পর্শ করা সুন্নত।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
তাওয়াফের সময় যদি কোন ওয়াক্তের নামাজের ইক্কামত হয়ে যায়,
তবে সাথে সাথে চক্কর বন্ধ করে নামাজ আদায় করতে হবে.
নামাজ শেষে যেখানে চক্কর বন্ধ করা হয়েছিল সেখান হতে শুরু করতে হবে.
চক্কর গণনায় ভুল হলে কম সংখ্যাকে অর্থাৎ ৩ চক্কর নাকি ৪ চক্কর হয়েছে
এরূপ সন্দেহের ক্ষেত্রে ৩ চক্করকে হিসাবে ধরে তাওয়াফ শেষ করতে হবে.
হিজরে ইসমাইলের (হাতিম-ই -কাবা)বাইর দিয়ে তাওয়াফ করতে হবে.